
ভালুকা প্রতিনিধি:
বিশেষ সুবিধা নিতে না পেরে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ূন কবিরকে ভেটিং বিতর্কে জড়ালেন একটা কুচক্রী মহল।
গত কিছুদিন ধরে ওসিকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট প্রচার চালানো হচ্ছে যার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, একটি সুবিধাবাদী মহলের ইন্ধনে কয়েকটি পেইজে ওসি হুমায়ূন কবিরকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এমসি কলেজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ২০০২ সালে লালাবাজার ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ২০০৪ ও ২০০৫ সালে দক্ষিণ সুরমা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আখ্যায়িত করে তার ভেটিং নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে তাকে ভালুকা মডেল থানা থেকে বদলির উদ্দেশ্য সফল করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
বিষয়টি নিয়ে ভালুকার স্থানীয় জনগণ, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগন এমনকি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নেটিজেনরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ।
প্রকৃতপক্ষে সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, এমসি কলেজ বা অন্য কোথাও ছাত্রলীগের সংগঠনের সাথে ওসি হুমায়ূন কবির কখন ও জড়িত ছিলেন না বলে জানান ওখানকার একাধিক স্থানীয় প্রবীণ নেতাকর্মীগন।
প্রকাশিত সংবাদে যদিও দুজন পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে ওনাদের কাছ থেকে ওসি হুমায়ূন কবির সম্পর্কে এই তথ্যগুলো পেয়েছেন প্রতিবেদক কিন্তু উল্লেখিত সংবাদে ঐসব সংগঠনের কমিটির কোনো কাগজপত্র বা ছাত্রলীগের কোন সংগঠনে কত নম্বর সিরিয়াল এর পদবীধারী নেতা ছিলেন ওসি হুমায়ূন এই বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য উল্লেখ করা নেই।
এটা নিয়েও ও চলছে নানা সমালোচনা। এদিকে পুরো ভালুকার সচেতন মহলের মধ্যে এইসব ভুয়া সংবাদদাতার ভেটিং নিয়েই আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন সামান্য একজন প্রতিনিধি থেকে একটা পত্রিকার সম্পাদনা কিভাবে করেন অর্থের উৎস কি এগুলো নিয়েও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। উল্লেখ্য,ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে ওসির ছবি, ভিডিও বা সংগঠনের কমিটির কাগজপত্র ছাড়াই শুধুমাত্র দুচারজন লোকের কথায় যে বা যারাই ওসিকে ভেটিং বিতর্কে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে তাদের ভেটিং নিয়ে আলোচিত কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানান একাধিক মাধ্যম।
এদিকে সংবাদে উল্লেখিত পুলিশ পরিদর্শক মিন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওসি হুমায়ূন কবিরের বিষয়ে তিনি এ ধরনের কোনো কথা বলেননি কারো কাছে।অযথায় সংবাদে তার নামে ভুয়া বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ূন কবির প্রকাশিত সংবাদের চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ছাত্রলীগের কোন সংগঠনের সাথে কখনো ই আমি বা আমার পরিবারের কেউ পোষ্টেড ছিল না।আমার থেকে কোন ধরনের সুবিধা না পেয়েই একটা মহল আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে এবং আমাকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। আমি এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।যারা এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।